Author: Dichterin

ধূসর উন্মোচন তার সঙ্গে থাকেনির্জনে থাকে না কখনোএকসঙ্গে খায়দায়ঘোরে, অরণ্যে যায়নিশিপাখির মতোএডালে ওডালে ঝোলেলুপ্ত সাধনার পাশেরেলপথ সমানে সমাননিষ্ফলা খেতের মাটিতেপুঁতে রাখে বীজবশীকরণ, সংহারপ্রহেলিকা ধূসর প্রান্তরেমন ডিঙিয়ে ওড়েনবদরজার চৌকাটে, গুঞ্জনেইনবক্সে থেকে থেকেপাখি ডেকে যায় অনেক পথের পাশেগিরগিটি হাঁটে, রঙ পালটায়বাঁশিসুর নিভন্ত আলোর উদ্বোধনেমহাসড়কের মাথায়শান্তস্বভাবে নিশিবেড়ালভ্রমণে গেলেসবুজবাতি জ্বলে আর নেভেনভোবাড়ির ছাদের নিচেমৌন…

Read More

১দ্রুত খাতা কাটছিল রুহি।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাসায় ফিরতে হবে। আম্মুর শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। কদিন ধরেই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অত বড় বাড়িতে আম্মু প্রায় একাই পড়ে থাকে। স্বল্প আয়ের কয়েকজন ভাড়াটে বসাতে চেয়েছিল রুহি। সারাক্ষণ লোকজন থাকলে খানিক দেখাশুনা করতে পারবে। আম্মু রাজি হয়নি। ম্লান হেসে আপত্তি জানিয়ে বলেছিল,…

Read More

গ্রাউন্ড জিরো ময়েশ্চার কি ভয়ানক দুর্ভাবনায় তারা তাকে খোঁজে জগতের সব রাস্তায়খেলার মাঠ ফুঁড়ে আড়াই মিটার গভীরেকিবরিয়ার রেখার বিমূর্ততায় সে কোথায়সে কোথায় তারা তাকে খোঁজে কবিতার অমায়িক উত্তাপেআকাশের তারাদের জংলায়ভূমিকাসম্বলিত বোসন কণায়একটা বড়সড় পরিবর্তন আসুকএমন ভাবনাও তো কম আতঙ্কজনক না ঐ যে দু’টো বুড়ো ভাঁড় আর কমলালেবুর শ্রীচৈতন্যমাখা হাসিঐ যে…

Read More

১দ্বিতীয় লাইনের অপেক্ষায় শেষ হয়প্রথম লাইনশেষ হয় না আসলে অপেক্ষার ভেতর উড়তে থাকাপ্রতিটি আলোকবিন্দুই নিভে যায় ডুবে যেতে যেতেও একজনআঁকড়ে ধরতে চাইছে একটি বিন্দু ২ছাই না-হওয়া পর্যন্তই বেদনা, তারপর স্মৃতিভস্ম… যেকোনো তাসে বাজি ধরার মতো অবলীলায়উড়িয়ে দেয়া যায় তোমাকে আলোকিত করবে বলে চাঁদঅন্যকাউকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়… ৩ক্রমশ ফিকে হয়ে আসা…

Read More

মধুগ্রাম পায়ে পায়ে মধু লেগে থাকেরূপপুরের ঘাটে। এ গ্রামে রমণীরাবাঁশফুল খোঁপায় গোঁজে আরমাটি দিয়ে চুল ধুয়ে রাখে!সেই এক প্রাচীন মহুয়াবাগানেঅন্নদাসুন্দরী একা একা হাঁটে। প্রাসাদে পাহারা নেই। প্রজা সবরাজা হয়ে বেচাকেনা করে।দূর ওই মাঠে— আলিফ লাইলারটি-শার্ট পরে কাকতাড়ুয়া হাসে। এ গ্রামে মধু, ঠোঁটে নয়—পায়ে লেগে থাকে! গ্রহণ কত ডাক আসে ঘরে…

Read More

অমানুষ এক সার্কাসকর্মীফাঁকা মাঠে তুলেছে একটা ঘরআর চিৎকার করছে… এই ঘরে অমানুষ আছেঅমানুষ আছেঅমানুষ… তাকে কেন্দ্র করে অনেক লোকের ভিড়একে একে ঢুকছে ঘরে সাক্ষাতের জন্য—ফিরছে কালিমুখে সকলেই।কৌতূহলবশত আমিও গেলাম;ফাঁকা ঘরচারপাশে আয়নার দেয়ালআমি— আমারই অবয়ব। মহাজনের ব্লাডব্যাংক সামনে হলুদ ভুঁই— এপাশে পুকুরধার ঘেঁষে মাচায় ফুটে আছে পটল ফুলওপাশে ধান ক্ষেত— একটা…

Read More

ইলিশ কাঁটা আলোকিত পায়রার দলেবাকুম বাকুম গান চলেআলোকবৃক্ষতলে ছায়াসুদূরের তুমি হয়ে জ্বলে মুগ্ধতা ফের আসে, ফেরটান তোলে তুমিগন্ধেরসব মায়া তোমারই তো মায়াসব মদ একই মাদকের প্রাপ্তির ঘোর হয় দৃঢ়আমাকে নতুন করে ছিঁড়োআঁশে দিয়ো ব্যথা পুরাতনধুতে হয় মহামন্দিরও নাই তবু শুধু আছো তুমিচন্দ্রের প্রস্তরভূমিশুক্ল-অমায় উচাটনচুপি চুপি ছায়া ধরে চুমি মেলা আছে…

Read More

স্বভাব সুন্দর জানি আজকাল কথা বলতে ভালোলাগেনা।কথার পিঠে কথা। কথার পিঠে লাগানো পাখা জোড়া…জানি গ্যাস বেলুনের মত আকাশের কোনো কোণেগিয়ে জমা হচ্ছে কথাদের প্রস্তরীভূত মেঘ।পাথরের চেয়ে বেশি কঠিন এসব কথাবড্ড পাড় ভাংছে ব্যাথায় ব্যাথায়।জানি আজকাল বড় বেশি একা আর সঙ্গতিহীন এসব কথারা মায়ায় পড়ে যাচ্ছে।বাঁধন কি খুব শক্ত মনে হয়…

Read More

এভরিবডি’স মেকিং লাভ অর এল্স এক্সপেক্টিং রেইন ভেজে উপশহর, ব্রিটিশ কাউন্সিল।কাদায় থপথপ পা ফেলে রিকশায় চড়তে মনে পড়ে তোমার বাসক পাতার ঘ্রাণ।সোঁদা গন্ধের থেকে বহুদূরে ঠেলে দ্যায় তা।রাত-ভোর বৃষ্টি বেঁধে রেডি করি প্রেজেন্টেশনের খসড়া।‘এ ফ্রিহুইলিন’ টাইম’ বারবার বাঁধ সাধে তাতে।তবুও বৃষ্টির তালে ভিজতে থাকে ইলেক্ট্রিসিটির তার, আর ব্লু জিন্সের কদমের…

Read More

অভিসারী একে একে সব খুলছে কপাট, অন্ধ বাতাস মুক্ত একলা…জবা গোঁজা চুল মহুয়া ঝরায়ে, নৈঃশব্দ্য সহযাত্রী।তোমার শরীরে আল্পনা আঁকে মঙ্গলদীপজোনাক আলো।চেয়ে দ্যাখো, ওই ঝলসানো চাঁদ জোয়ারের জলেমাহুলি জোৎস্না-ঘাসের আঁচলে সাজাবে সন্ধ্যা একটি রজনীগন্ধা।খোলা জানালায় ভাঁজ হয়ে বয় রুপালি আলোর ঝর্না। যুগলবন্ধন হাতটা বাড়াও সটান সোজা বন্ধু-চিরন্তনহাতের ওপর হাতটি রাখোউষ্ণতার হোক…

Read More