গ্রাউন্ড জিরো ময়েশ্চার
কি ভয়ানক দুর্ভাবনায় তারা তাকে খোঁজে জগতের সব রাস্তায়
খেলার মাঠ ফুঁড়ে আড়াই মিটার গভীরে
কিবরিয়ার রেখার বিমূর্ততায়
সে কোথায়
সে কোথায়
তারা তাকে খোঁজে কবিতার অমায়িক উত্তাপে
আকাশের তারাদের জংলায়
ভূমিকাসম্বলিত বোসন কণায়
একটা বড়সড় পরিবর্তন আসুক
এমন ভাবনাও তো কম আতঙ্কজনক না
ঐ যে দু’টো বুড়ো ভাঁড় আর কমলালেবুর শ্রীচৈতন্যমাখা হাসি
ঐ যে এক পেটেন্টবিহীন ধূমকেতু
তিন কোটি বছর আগের
সে কোথায়
ততক্ষণে রাজমিস্তিরা ভ্যানিশড
আর কনফারেন্স রুমের সিলিকন চিমনিতে
কফিশপে
তারা তাকে হন্যে হয়ে খোঁজে
নিজেদের দিকে তাকাতেও
তারা সময় পায় না
বাড়ি
আমার বাড়ি আছে
আমি ভিখিরি নই
তোমাদের কি ধরে ধরে দেখাতে হবে
কোথায় আমার বাড়ি
কোন রঙের
কোন রক্তের
অতো দায় আমার নেই
খুব সহজ একটা জার্নি আছে আমার
সেটা
দেখাবার মতো নয় তেমন
বলে বোঝাবার মতোও নয়
তবে জেনে রাখা ভাল
রক্তে ক্লেশে ভালবাসায় যে বাড়ি তৈরি
সে বাড়ি সহজে ভাঙে না
পারমথুরাপুরের আনাজ
আমাদের পাশাপাশি রাস্তা ঠাসাঠাসি পুন্ড্রকুরুশের
হাহাকার
তার সবুজ ডানার চোখ
তার ডানার সবুজ চোখ
তার চোখের সবুজ ডানা
তাকে মানে না
ধানের শীষ ধানবীজের ভিতর সোলার রাইজোম্যাটিক
গরুগুলো ঘরে ফিরছে ক্ষেতের আল ধরে
রাখাল ফিরছে না রাখাল কোথায়
সে বললো
চোখ বন্ধ কর স্থিতিস্থাপক দেহকান্ড ভুলে
সে বললো
প্রতিটি রক্তের ফোঁটা প্রতিটি শ্বাসের দিকে
আমাদের ফিরিয়ে নেয়
একটার পর একটা সিঁড়ি
সিঁড়ির ধাপ
আবার সিঁড়ি
বাঁক নিয়েছে
সিঁড়ির শেষ ধাপে
অপেক্ষা করছে
অপেক্ষা