অনতিক্রম্য দূরের অন্বয় নিয়ে ভাবতেছে একটা মেঘে-ঢাকা সকাল
যে সকালটা বিষণ্ণ আলোয় পড়ন্ত বিকালের মতো হয়ে আছে, তার মধ্যে অতীত সময়ের প্রত্ন কিছু খাত জড়ো হয়ে, ভিড় করে মুখ তুলতে চাইছে যেমন করে মুখ তুলতে চায় কালো থকথকে তৈলাক্ত পানির অবরোধ ভেঙে বুড়িগঙ্গার কোনো অবলুপ্তপ্রায় প্রাণীর শ্বাস…
আর শ্বাসরুদ্ধকর পাতারা ঝরে পড়ে গাছ থেক
তারা কোনো মাধ্যাকর্ষণ নিয়ম মানতে না-চেয়ে একসময় উর্ধ্বের দিকে উড়তে থাকে…
দূর থেকে আবছায়া তাদেরকে অবিকল পাখি মনে হয়
ফলে তারা পাখিই হয়ে যায়
পৃথিবী থেকে একসময় হাওয়া বন্ধ হয়ে গুমোট মেরে থাকে একটি গ্রন্থের পৃষ্ঠা
সেখানে থোক থোক জমা হয়ে আছে ঔপনিবেশিক একটি ডুমুর গাছ
তার গা বেয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে ওঠে একটি বিষধর সাপ
জ্ঞানকাণ্ডের বাগবিভূতিকে ছোবল মারতে পারে সে যে কোনো সময়
তবুও গ্রন্থটি একটি মাদুরের দিকে চেয়ে থাকে
তার ভেতরে ভয় নয়, ছোবলের স্বাদের বাসনা
তখন সকালটি তার মলিন আলোকে নিয়ে ড্রিবলিং করে যায়
দূরের ছাদে একটি বিড়ালের পা আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠবে এখন
সে এই সকালটাকে ইঁদুরের মতো ধরতে মাঠে নেমে যাবে
খেলবে সে
সাজানো সিনেমা জুড়ে একটা প্রজাপতির সিকুয়েন্স আসবে বলে প্রেক্ষাগৃহে বার্গারে কামড় দিতে ভুলে গেছে
পিকনিক করা দম্পতি
তাদের মনোবাসনার মতো একটি সকাল
পৃথিবীর পাতানো খেলায় ফুটতেছে….