সপ্তমী দাশ চৌদ্দ
তোমার নামই পৃথিবীর সকল পবিত্র প্রতিমা ও প্রেমিকার নাম।
সপ্তমী দাশ পনেরো
তুমি আসবে।
তোমার আসার জন্য অনন্তকাল মধুর অপেক্ষা করি।
সপ্তমী দাশ ষোলো
আহা এই ফাল্গুন।
একটা বসন্ত বৌরির ডাকের ভেতর ডুবে গেছি।
তুমিও কী এভাবে ডাকতে পারো না আমাকে!
সপ্তমী দাশ সতেরো
তোমার প্রেমের সমস্ত হিম দারুণ গেঁথেছে বুকে
ভীষণ ঠান্ডা কফ থেকে যক্ষ্মার উপক্রম!
আমি কাশলেই ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে
তোমার নাম—
সপ্তমী দাশ, সপ্তমী দাশ
পৃথিবীতে এমন কোন ঔষধ আছে, সারায় এ রোগ!
সপ্তমী দাশ আঠারো
দ্যাখো দিনে দিনে আমরা কেমন যোগ চিহ্নের মতো বাড়তে থাকি…
সপ্তমী দাশ ঊনকুড়ি
সকল মলাট খুলে ভিতরে যাবো তোমার
পাতায় পাতায় হবে দীর্ঘ সঙ্গম
পবিত্র গ্রন্থের মতো ছোঁবো— চুমু খাবো
বুকের ভেতরে রেখে দেবো সমস্ত অক্ষর।
জন্ম ও মৃত্যু কালীন সকল সময় পাঠ করব তোমার নাম।
সপ্তমী দাশ কুড়ি
আমাকে এ কোন ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাও!
সকলে ধ্বংসকে ভয় পায় খুব,
অথচ সৃষ্টির পরে ধ্বংসই প্রকৃত সত্য।
সপ্তমী দাশ একুশ
লোকে বলে আমার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে,
অথচ এই চোখে ও হৃদয়ে তোমাকে দিব্যি দেখতে পাই!
সপ্তমী দাশ বাইশ
সবুজ ধানখেতের মতো বিশাল উরু মেলে ধরো,
পরাগায়নের ভ্রমর হয়ে বিলি কাটি,
শীষ আসুক—
ফলনে ভরে উঠুক সমগ্র শরীর…