হাতিরঝিলে আমার কোনো ছবি নেই
আমি জঙ্গল জঙ্গল ঘরে হরিণ পুষবো ভেবে
জানালার পর্দায় যতো উসকানি, উপেক্ষা করে
হাতিরঝিলে বসে থাকি।
ঝিলের তলে আরো গভীর ও স্থির জল।
অতর্কিত ফ্লাশলাইটের জড়তায়—
কেমন করে একটা ব্রিজ ভিজে ভিজে আরো বেশি চতুষ্কোণ হয়ে যায়, এমন শরীরী
আচরণ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই
সেদিনও টিকটকাররা বাড়ি ফিরে গেছে। সেদিনও এমন করে একটা ভেজা
বিকেল ডাহুকবেলা হয়ে উঠেছিলো। তুমি আমার পাশে ছিলে অথবা ছিলে না
কোনো কালে। একটা নিদানের ভিতর আমাদের উষ্ণতা লুকিয়ে গেছে ভেবে
তোমার আঁচল থেকে চন্দ্রবিন্দু খসে পড়েছে ঝিলে।
এমনতর সন্ধ্যায় চা-পাতায় রাঙেনি দক্ষিণ মেরুল
জুবুথুবু লাল ইটের রাস্তায়
ছাতার নিচে বিগত দিনের ভুলে ভরা বৃষ্টিসংবাদ।
আঙলে বাঁধা ইয়োইয়োর সুতোয় যত মুগ্ধতা ছিলো
সব নিয়ে হেঁটে গেছো হলুদ ল্যাবিরিন্ত,
ফেরোনি; ঝিলের তিন নাম্বার ব্রিজের নৈকট্যে
যেখানে ভাসমান চায়ের দোকান অথবা
নাগেশ্বর চাঁপা গাছটি আরো ঘন হয়ে উঠছে ধীরে।
হারিয়ে যাওয়া পায়রার খোপের সমস্ত ক্যাওয়াস নিয়ে আমি এখানে বসে থাকি।
সুষম এ ঝুঁকে থাকার ভিতর—মাথাব্যথা নিয়ে আসে নীরবের কৌতুক।
নাগেশ্বর চাঁপার পাপড়ি ভেঙে ভেঙে পড়ে জলে, অতলে।
ঝিলের তলে আরো গভীর ও স্থির জল।
তখনো সন্ধ্যার হেডফোনে মরিয়া অরূপ রাহীর গান বেজে যায়—
‘আমি তোমার মাঝে ঝিরঝিরিয়ে বইতে চেয়েছি’
আপেলের শুশ্রূষা
আলমারি খুলতেই তালশাঁস বেড়িয়ে আসবে ভেবে
আমি ফালতুই হাঁটছিলাম
তখনো আমার গায়ে ডালিমফুলের মহড়া
এ আতর আতর পথ আরোগ্যাতীত।
আমি কিভাবে খুলে রাখি বলো
এ লাল, এ পরামান্নের রঙ?
তুমি শুধু দেখো না—
কুয়াশার সাথে ঝরে পড়ে কিছু বিস্ময়চিহ্ন
যেভাবে ঐচ্ছিক সন্ধ্যা নামে সিএন্ডবির মোড়ে
নাগচাপার ডালে তখনো ফেইক ডিজায়ার।
গড়িয়ে পড়ার ভিতর দিয়ে কম্পো নদী পেরুলে
সূর্যাস্ত ছড়িয়ে পড়ে, ধারালো ফলার ধারণায়—
তোমাকে রাখি আপেলের ভিতর— এক অসীম কামড়ে।
বিরহিত
ঋতুরক্তের ধারণা নিয়ে টবের নিচে ২৬টি চুমু পড়ে আছে
মেহগনির ডাল থেকে দুপুরের মুনিয়া উড়ে গেলে
জিরা ফোঁড়নের চিরচির দশা আহ্নিকগতিকে আরো উসকে দেয়
মাচাঙে লাউয়ের ডগা নেতিয়ে যাচ্ছে
এতো নিদান… বিব্রত কিছু ঘুম শুধু শুধু!
তথাগত বাড়ি ফিরেনি আর?
এমন প্রশ্নে অপেক্ষাও ফুরিয়ে যায়। তবু—
মান্তা তরুণীর গোপনীয় বাকসে
তোমাকে বিরহের মতো পুষিবো।
প্রচ্ছদ । হিরন্ময় চন্দ