কিতাবের কাঁধে চড়ে ভাসতে ভাসতে তুমি চলে গেলে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে,
সাগর, মহাসাগর, মহাকাশ হয়ে ফিরে এলে আবার এবড়ো- থেবড়ো পৃথিবীতে।
চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নিলে তুমি কিতাবের সাথে কিতাবি জগতকেও!
মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতার মতো আমি ঢুকে পড়লাম তোমার কিতাবে,
চোখে ঠুলি, মুখোশ আঁটা বয়ানের নক্ষত্রগুলোকে ঠোঁটে করে নিয়ে এলো কালো বাদুড়ের দল,
কাড়াকাড়ি পড়ে গেলো তোমার ঐ মুখোশ আঁটা বয়ানগুলো গিলে খাবো বলে!
কিতাবের অক্ষরগুলো এখন তোমার পাকস্থলীতে টগবগ করে ফুটছে আর বায়বীয় পদার্থের মতো বেরিয়ে আসছে,
বায়বীয় কিতাব বায়ুমন্ডলের উঁচু থেকে নিচে পারদের মতো ওঠানামা করছে এখন
এরপর গড়গড় করে সহজ বাক্যে ইস্পাতের মতো কঠিন কিতাবের বয়ান দিয়ে গেলে তুমি!
আমি ও আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো বায়বীয় কিতাবে ঢুকে পড়লাম আবার,
বায়বীয় কিতাবের ঘাড়ে চেপে পরাবাস্তবতার জগতে ভেসে যেতে দেখলাম তোমাকে
রঙচঙে মুখোশ পরে নিয়ে, বাস্তব থেকে পরাবাস্তবে হাঁটিয়ে নিয়ে এলে আমাকে।
মুখোশ আঁটা তুমি ও তোমার কিতাব দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে গেলো চোখের নিমিষে
এরপর বায়বীয় মহাকাশে চলে গেলে তুমি, সঙ্গী হলাম আমিও!
ছিটকে পড়ে, আমার জগতে ফিরে এসে দেখলাম, তুমি আগাগোড়া বায়বীয় কিতাব হয়ে গেছো এখন!