যৌবন
খর রোদে স্নান পেয়ে
গেয়ে ওঠে সাকিরা ধ্রুপদ
কথা বলা চোখ
মাকড়সা লতায় মাপা ঠোঁট জানে
কোন পাতে কেউটের বিষ
কোথায় নিমের মধু ম্লান
ঝিনচ্যাক ফুলে ওঠা
এলোমেলো বাটনে দ্বিধা ছোঁয়
মায়াবী আঙুলের রামকিংকর
আমবনে ফিরে দেখা ধারাপাত
গতিসুখ,দুর্দম সত্যসন্ধ বোধ
তোমারে জানিনে হে,তবু মন…..
হায় মন…. মন অতি সুবোধ বালক তো নয়
যত ব্যথা যত বিষ মেখে নেয়
ফেলে দেয় যত সুখ
স্নায়ুকোশে ঘা,গড়ার সুখেই ভাঙো
অনুবাসনার রসায়ন
নিন্দার মুকুটে সাজো
সৃষ্টির সূত্র ভুলে অমিত বিক্রম
বিকৃতির মিছিলে মেশো
দু-হাতে কলঙ্কধ্বজা ঊর্ধ্বমুখ……
কান্না
শিকলের গান গাইতে গাইতে পাখিটি দানা খায়
নাম তার শুক। শুকের প্রেমিকা শারি কাছাকাছি নেই।
সে বড়ো স্বাধীনচেতা দাসত্বে ভয়। তার সম্ভ্রমের কাছে
তুচ্ছ সব প্রোলোভন পোশাক বা আভরণ রসনাবিলাস।
নিজেকে বিক্রি তার ধর্ম না। শিকলবিলাসী ভাবে
বন্ধনই নিরাপত্তা। তাই দিনরাত প্রভুনাম গুণগানে
ভাসায় সংসার। প্রশান্তি মুড়ে থাকে কলঙ্কের দাগ।
তবুও শারি তার মনের ভিতর মাঝেমাঝে ফুলের আঘ্রাণ।
মধুকথা খুনসুটি ঘরের স্বপ্ন তাকে দোলা দিয়ে যায়।
চাওয়া আছে আসুক সে খাঁচার ভেতর। খাঁচাকে ডরায়
প্রিয়া। উড়ন ভুলেছে যে বহুদিন তার শুধু দীর্ঘশ্বাস সার।
প্রভুর প্রাসাদ বাড়ে আকাশের দিকে চাকরের ঘরে বাড়ে
খেদ।ওপাড়ার বিড়ালটা প্রতিদিন দাঁত আর নখে
কবিগান গায়। গল্পটা অজানা নয় একরাতের ভুলে
সীমানায় আতঙ্কের দাঁত শ্বাপদের মুখে ঝোলে নরম
পালক ঘিলু খুলি আর পেশি। গরম রক্ত আর মাংসের
উল্লাস। রুদালি ছিল না কেউ কেবল একদিন আস্তাকুঁড়ে
ভাঙা খাঁচা। শারির বিলাপ ভাঙে কঠোর দেয়ালে
গাছ ফুল পাখি আর কবি ছাড়া কেউ তা শোনে না।