শেখর হিমাদ্রী এর গল্প ‘দ্বিধাগ্রস্থ সময়ে’

0

কর্মজীবন শুরুর আগে টানা দুই বছর বেকার ছিলাম। সাকার হওয়ার পথটা সোজা ছিল না। এমন অবস্থায় যা হয়, ‘খড়কুটো পেলেও মানুষ …’ অথবা ‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখিও তাই … …।’ ঐ রকম অনেকটা। এই অবস্থায় দেখলাম জগতে কত কিসিমের মানুষ যে আছে তার কোনো হদিস নাই।
একবার চাকরি খোঁজার তাগিদে একদিন একটা ঠিকানা নিয়ে আমাকে শহরের বাইরে যেতে হলো। যাব ট্রেনে। বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি সব ফকফকা পরিষ্কার, কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা মানুষ ঘুম থেকে উঠার আগেই ঝাঁট দিয়ে ময়লা/আবর্জনা সব পরিষ্কার করে রেখেছে, এত পরিষ্কার যে গাড়ি ঘোড়াও নাই। শীত শীত ভাব, ষ্টেশন পর্যন্ত যেতে একটা ভাড়া গাড়ি দরকার অথচ একটা খালি রিক্সা পর্যন্ত নাই। ষ্টেশন খুব দূরে না, দ্রুত হেঁটে গেলে ২৫/২৬ মিনিট লাগবে, কিন্তু ট্রেন ছাড়তে আর ২০ মিনিট বাকি। সুতরাং আমার একটা যানবাহন লাগবেই। দ্রুত হাঁটছি আর পিছন ফিরে ফিরে দেখছি, আমাকে হাঁটতে দেখে কোনো খালি রিক্সা বা অন্য কিছু এগিয়ে আসছে কিনা। না — কোন সম্ভাবনা নাই । ট্রেনটা মনে হয় মিস্ করবো। রিক্সা চলাচল করছে কয়েকটা, তবে সবগুলো-ই যাত্রীসমেত। সবাই মনে হচ্ছে ষ্টেশনমুখি, ঘর ছেড়ে বের হয়েছে সেই মানুষগুলো যারা ট্রেন ধরবে। আমিও থেমে নাই, আশা নিয়ে পথ চলছি। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে একটা কিছুতো মিলবেই, এরকম ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ একটা গাড়ি পাশে এসে দাঁড়ালো আর এক ভদ্রলোক দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন ষ্টেশনে যাব কিনা, সবিস্ময়ে সম্মতিসূচক মাথা নাড়াতে দেখে ভিতরে উঠতে বললেন। আমিও যে ষ্টেশনেই যাচ্ছি ট্রেন ধরার জন্য সেটা অনুমান করে নেয়াটা খুব অবাস্তব না। আমি যথেষ্ট সংকোচ এবং স্বস্তি নিয়ে উঠে তাঁর পাশে বসলাম। গাড়ি ষ্টেশন অভিমুখে ছুটলো। ভদ্রলোক আমার কোলে রাখা হাত দু’টো ধরে বেশ আন্তরিকতার সাথে আমার নামধাম, পড়াশোনা, কি করি না করি জিজ্ঞেস করতে লাগলেন। প্রশ্নগুলোর জবাব দিচ্ছি আর ভাবছি যে, আমার আর চাকরি-বাকরির চিন্তা করতে হবে না; কেননা পোশাক-চেহারা ইত্যাদি দেখে মনে হচ্ছিল ভদ্রলোক শিল্পপতি যদি নাও হন, আমাকে চাকরি দেবার সক্ষমতা তাঁর আছে। সুতরাং আজকের জার্নিটা বাতিল করলেও করা যেতে পারে। কারণ আমি যার কাছে যাচ্ছি তিনি আমার পরিচিত নন এবং ঠিকানাটাও অস্পষ্ট; আমার কাছে একটা সুপারিশপত্র আছে মাত্র এবং সেটা প্রমাণ করে যে তিনি দাপুটে। কিন্তু আমার যে একটা চাকরির প্রয়োজন তা এই সদ্য পরিচিত ভদ্রলোককে তো বলিনি, অতএব জার্নিটা করতে হবে, এটা দ্বিতীয় অপশন হিসেবে থাকুক। গাড়ি চলছে-দুলছে, বাঁকগুলোতে গায়ে-গায়ে লাগছে। কিন্তু আমি অপ্রস্তুত নই, ভাল পোশাক পড়েছি, দামী পার্ফিউমও লাগিয়েছি। আত্মবিশ্বাস! সেটাও আছে। এখন দরকার পরে আবার দেখা হলে আমাকে যেন তিনি চিনতে পারেন তার ক্যারিকেচার। এর-ই মধ্যে জেনেছি তিনি আপ ট্রেনের যাত্রী আর আমি ডাউন ট্রেনের। ষ্টেশনের কাছাকাছি এসে পড়েছি। তিনি আমার হাতদু’টো এখনো ছাড়েননি বরং বেশ শক্ত করে ধরে নাড়াচাড়াও করছেন। এবার কিন্তু আমি অস্বস্তিতে পড়লাম — আমার হাতদু’টো তো আমার কোলের মধ্যে।
ষ্টেশনে পৌঁছে জানলাম দু’টো ট্রেন-ই লেট রান করছে। ভদ্রলোক আমাকে ছাড়লেন না, হাসি হাসি মুখে প্রথমশ্রেণীর বিশ্রামাগারে নিয়ে বসলেন আর চায়ের অর্ডার করলেন। আমিও খুশি, এই পরিচয়টা যদি আরও একটু চওড়া করা যায়!
বৃহঃস্পতি তুঙ্গে! উনি আমাকে তাঁর নেম কার্ড দিলেন, কার্ডের পেছনে বাসার ঠিকানা হাতে লিখে। মুখে কোন গলি, কোন বিল্ডিং এর পাশে সেটাও বলে দিলেন। আজকে নিশ্চয় আমাকে খুব হ্যান্ডসাম দেখাচ্ছে। আবারও পাশাপাশি বসেছি, এবার আমার হাত কিন্তু কোলের মধ্যে ছিল না, উনি সেটা ধরে আমার কোলের মধ্যে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে তাঁকে কোন সময় বাসায় আর কোন সময় অফিসে পাওয়া যাবে তা মুখস্ত করিয়ে দিলেন। চা এল, চুমুক দিতে দিতে আলাপ চলল; যাক, আমি কিছু ভাবছি না। অনেকবার ভুল অনুমান করে বোকা বনেছি। আমার চাকরির খুবই প্রয়োজন সেটা ভুললে চলবে না। ডাউন ট্রেনের ঘণ্টা বাজল, মাইক্রোফোনে প্ল্যাটফরম নম্বর ঘোষণা হলো, আমি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নেম কার্ডটা পকেটে নিয়ে ‘নিশ্চয় দেখা করব’ বলে বিদায় নিলাম।
সূর্য ডুবেছে, আলোটা আছে— ডিমের কুসুমের মতো ঘোলা রং। আমার নির্দিষ্ট ষ্টেশন এসে গেলে নেমে প্ল্যাটফরমের বাইরে এসে ভাবছি কী ভাবে ঠিকানা মতো পৌঁছব। যেখানে যাব তার ঠিকানা স্পষ্ট নয়। শুধু জানি তিন রাস্তার মোড়ে তিনটা সিনেমা হল আছে এমন একটা স্থান। এই শহরে এমন জায়গা দুইটা থাকলে বিপদ হবে। কাউকে-ই বা জিজ্ঞেস করবো! সামান্য কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে, তাও সব ব্যস্ত সমস্ত এদিক সেদিক হারিয়ে যাচ্ছে। এই শহরটা আমার শহরের তুলনায় ছোট, অর্থাৎ প্রচুর গাছগাছালি — কংক্রিটের অরণ্য না। তবে জেনেছি প্রচুর প্রাচীন বনেদী পরিবারের বসবাস। খুঁজে পেতে ১২/১৩ বছরের এক খুকিকে দেখতে পেলাম যার কোনো ব্যস্ততা নাই। ভাবলাম ওকেই বলি। এগিয়ে যেতেই মেয়েটিই আমার কাছে এলো। আমি ওকে আমার সমস্যাটা বললাম। ও আমার ব্যাগটা হাতে নিয়ে বলল ‘চলুন কাছেই’অর্থাৎ চিনে। আমি ব্যস্ত হয়ে ব্যাগটা ওর হাত থেকে নিয়ে ওর কাঁধের উপর হাত রেখে হাঁটতে লাগলাম। অতিসাধারণ ঘরের মেয়ে, তবে বেশ চটপটে, একাই বকবক করছে নিঃসঙ্কোচে। আমার হাত এখনও ওর কাঁধে, হাতের তালুটা বুক বরাবর, বেশ কয়েকবার ওর ছোট্ট বুকটা স্পর্শ করলো। অনুভব করলাম ওর দেহে যে পরিবর্তন শুরু হয়েছে সেটা মনে হয় তার অজানা, শরীর আর বুদ্ধিটা সমানতালে এগুইনি। আমার ভেতরের শয়তানটা কিন্তু আমাকে নিস্কৃতি দিল না। সেজন্য অপরাধবোধে ভুগছিও না — আশ্চর্য্য। বলছিল: যেখানে যাব সেখানে ওর বাবার একটা দোকান আছে। জ¦াল করা মহিষের দুধ বিক্রি করে, অনেক মানুষ ভিড় করে খায় আবার নিয়েও যায়।

সত্যিই তিন রাস্তার সংযোগস্থল, তিনটা রাস্তার মুখেই তিনটা সিনেমাহল, নামগুলোও বড় করে লেখা, জ্বলজ্বল করছে। এখন শো চলছে মনে হয়, তাই লোকজন কম। ডান দিকের রাস্তার পাশ দিয়ে চওড়া একটা গলি — ভেতরে প্রকাণ্ড একটা বাড়ি দেখে অনুমান করলাম জায়গামতো পৌঁছে গেছি। হঠাৎ ‘দোকান ফেলে কোথায় গেছিলি!’ বলে একজনকে তেড়ে আসতে দেখে মনে হলো মানুষটা মেয়েটির বাবা বোধহয়। মেয়েটি আমাকে ফেলে বাড়িটা দেখিয়ে দিয়ে তার কাছে দৌড়ে চলে গেল। আমি গলির ভেতরে ঢুকলাম।
কিছুটা অগ্রসর হওয়ার পর শুনতে পেলাম দ্বিতল বাড়ির ওপর তলা থেকে চিৎকার-ধমক ইত্যাদির শব্দ আসছে। মনে হয় তর্কাতর্কি হচ্ছে, বেশ জোরেসোরে। কি করবো? আরো এগুনো কি ঠিক হবে! অপেক্ষা করবো! গেটের পাহারাদার কি আমাকে এখন ঢুকতে দিবে? সমস্যায় পড়া গেল দেখছি! ইতস্তত করছি ঠিক তখন গেট খুলে গেল আর একজন দীর্ঘাকৃতির মানুষ গেটের বাইরে এসে অস্থির পায়চারি করতে শুরু করল, মুখ থেকে ঘন ঘন ধুম্র নির্গত হওয়ায় মুখটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না হাতে পাইপ। কিছু তফাতে দুইজন দারোয়ান/পাহারাদার। হঠাৎ-ই মানুষটা আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলেন। এবার চেহারাটা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি — এই লোক হুকুম করতেই অভ্যস্ত, হুকুম শুনতে না — হয়ত অনুরোধ শুনতে পারে। ‘আমি কি করবো’না বুঝে বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকলাম। কিন্তু তিনি আমাকে দেখেননি, আমার কাছে এসে থমকে অবাক চোখে তাকালেন। আমি কিছুই বলতে পারলাম না। তিনি মাছি তাড়ানোর মতো করে আমাকে ‘পরে, পরে’বলে বিদায় হতে বললেন।
আমি বড় রাস্তায় সরে গেলাম। দুধ বিক্রেতা আর তার মেয়েটা হঠাৎ এসে আমাকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে বলল, চলে যেতে। কয়েকদিন থেকে নাকি বাবুসাহেবদের বাড়িতে এমন হৈ চৈ শোনা যাচ্ছে যা আগে কখনোই ঘটেনি। সাহেবকে আর দেখা গেল না। আমার চাকরিও আপাতত ফুড়ুৎ হয়ে গেল।
ফিরে যাব, এখনই! ওদের দোকানে গিয়ে বসলাম। বড় বড় প্যানে দুধ জ্বাল হচ্ছে — ওপরে মোটা সর জমে আছে, একজনকে দেখলাম সেই সর খাচ্ছে। আমিও একপ্লেট দিতে বললাম। ওপরে একটু চিনি ছিটিয়ে দিয়েছে — সবাই মনে হয় এভাবেই খায় — আমি এক চামচ মুখে দিয়ে দেখি মুখ আওড়ে যাচ্ছে, তবে খেতে ভাল। ‘সিনেমাহল’ ভাঙ্গলে এখানে খুব ভিড় লেগ যাবে মনে হয়। ভাবছি; ফিরে যাব বিফল হয়ে! আর তখনই সেকেন্ড অপশন এর কথা মনে এলো। তাই সই। ফিরেই যাই।
দিনক্ষণ দেখে একদিন গেলাম ভদ্রলোকের অফিসে। বড় অফিস, খুব ব্যস্ততা। ইন্টারকমে রিসিপশনিষ্ট কিসব বলে আমাকে পাঠিয়ে দিল বড়কর্তার রুমে। খুব খুশি হয়ে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন, স্যান্ডউইচ-কোল্ড ড্রিংস ইত্যাদি চলল, ফাঁকে ফাঁকে নিজের লোকজনকে বিজ্ঞাপণ/দরপত্র/ইনকাম-ট্যাক্স/উৎপাদন-বিপণন, নানান বিষয়ে পরামর্শ দিলেন এবং নিলেন। আমি কিছু বলার সুযোগ পাচ্ছি না। তিনি নিজেই ব্যস্ততার উল্লেখ করে বাসায় ডাকলেন — আগামীকালই, বললেন বেলা ১২টার আগেই যেন যাই — তিনি অপেক্ষা করবেন। সম্পর্কটা ভালই গড়িয়েছে — খুশি মনে পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নিতে ফিরলাম।
পরদিন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ঠিকানা মতো গিয়ে দেখলাম বড়লোকের বাড়ি-ই, বড় রাস্তা থেকে চোখে পড়ে না। ঘরের চেয়ে বাগান বড়, মালী-দারোয়ান সবাই কাজে রত। আমাকে ভেতরে পাঠিয়ে দিল। ভেতরে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। খবর দেয়া হয়েছিল — ভদ্রলোক হাসিমুখে ওপর থেকে নিচে নেমে এলেন। আবারও আমার পাশে বসে একই রকমভাবে আমার হাত নিয়ে খেলতে লাগলেন — এই ব্যাপারটা ভাল লাগছে না — খুবই অস্বস্তি হচ্ছে।
ফলমূল-পানীয়-মিষ্টান্ন কত কিছু নিজেই ফ্রিজ থেকে বের করে খাওয়ালেন। বাড়ি-ঘর দেখিয়ে নিয়ে গেলেন নিজের রুমে। কোথাও কোনো ত্রুটি নাই, সবকিছু যত্ন-রুচিসম্মত করে সাজানো। তীব্র ‘কামিনী’ফুলের গন্ধে ঘর মৌ মৌ করছে। হঠাৎ আমাকে চাকরির অফার করলেন — আমার যে একটা চাকরি প্রয়োজন সেটা কিভাবে বুঝলেন জানি না। কী কাজ জিজ্ঞেস করায় বললেন — কাজের অভাব কী — যোগ্য মানুষের-ই অভাব। এরপর খুব সংক্ষেপে উল্টোভাবে বললে: আমি, কিভাবে জানি না — ধর্ষিত হলাম। বকবক করে চলেছেন, ‘মেয়েদের তাঁর ভাল লাগে না — তাদের গায়ে কেমন আঁষটে গন্ধ!’ আরো কিসব! পরে খুব দ্রুততার সাথে পোশাক পরে, তৈরি হয়ে বের হয়ে যাবার আগে আমাকে বললেন, আমার চাকরি পাক্কা, কাল থেকে যেন অফিসে বসি। খস খস করে একটা চেক লিখে আমাকে ধরিয়ে দিলেন। এখন আমি একা ঘরের ভেতরে বসা। আমার অনুভূতি জিরো।
চেকটার উপর চোখ গেল — অবিশ্বাস্য! পাঁচমাসে আমি যে টাকা খরচ করতে পারবো না, চেকে লেখা টাকার অঙ্কটা সেই পরিমানের। এটা নাকি আমার একমাসের অগ্রিম বেতন। চাকরি তো পাকা, এখন কী করি! দ্বিধাগ্রস্থ আমি। ধাতস্ত হতে কতক্ষণ লাগল জানি না। ঠিকঠাক হয়ে যখন বেরুতে যাব খেলাম আরেক রাম ধাক্কা। আলটপকা একটা আগুনের গোলা এসে ঘরে ঢুকলো — অপরূপ সুন্দরী এক মায়বী নারী — তবে হালকা মেঘের আড়ালে যেন ঢাকা পড়েছে তার সৌন্দর্য্য।… হিস হিস করে উঠলো: ‘অনেক টাকা, না!’ চিবিয়ে চিবিয়ে বের হয়ে এলো শব্দগুলো তার মুখ থেকে; ‘আমিও টাকায় ভুলে তাকে বিয়ে করেছিলাম, কি পেলাম! বিয়ের পর একদিনের জন্যও পাইনি স্বামীকে।‘ আমার কাঁপুনি ধরে গেছে। আবার হিস হিস ‘আমার বখরা দাও।’বিহ্বল আমি তাকে চেকটা দিতে গেলাম। গর্জে উঠলো: ‘আবার সেই টাকা! আমি যে শুকিয়ে আমচুর হচ্ছি সে কি টাকার জন্য। ওগুলো আমার কাছে কত আছে জান? চাই তোমার? আমি আরো দিব — আমার বখরাটা দাও।’বলেই একটানে নিজেকে উন্মুক্ত করলো, যেন কত অল্প সময়ে বস্ত্রহীনা হওয়া যায় তার বিশ্ব রেকর্ড হলো। বিস্তারিত কিছু বলার নাই। ওটা যখন হয়েছে, এটা পারব না কেন? ষোল আনা বখরা মিটিয়ে-চুকিয়ে বেরিয়ে এলাম বাড়িটা থেকে।
বাইরে এসে মুক্ত বাতাসে এবার স্বাভাবিকভাবে ভাবতে পারছি; পানীয়টার ভেতরে কিছু মেশানো ছিল কি — সামনে একটা বাঘ আর পেছনে নেকড়ে — কোন দিকে যাব! পকেটে ক্যাশ চেক, কিন্তু আমি ব্যাংকে গেলাম না। একটা ট্যাক্সি ডেকে বাসার ঠিকানা বলে পেছনের সিটে চড়ে বসলাম।

পাঠপ্রতিক্রিয়া ও মন্তব্য
Share.

Comments are closed.