নওশাদ নূরীর কবিতা । মূল উর্দু থেকে ভাষান্তর হাইকেল হাশমী

0

নওশাদ নূরীর কবিতা

মূল উর্দু থেকে ভাষান্তর হাইকেল হাশমী

দখল – (সেনা শাসন)

এমন দৃশ্য দেখতে হয়, নেই যে কোন উপায়
এমন ঘৃণা, চোখ যে সেই দিকে ছুটে যায়
কোন মর্মস্পর্শী মুহূর্ত নিজের হত্যার যজ্ঞ থেকে
বের হবার পথ দেখে না, পায় না কোনো উপায়
কো্নো প্রতীকের কোথাও নেই যে খোঁজ আজ
কোনো ইঙ্গিতের পাওয়া যায় না যে কোনো সন্ধান ।

এমন দৃশ্য যেখানে দৃষ্টি গেছে আটকে
এমন প্রেক্ষাপট যেটা বিঁধে আছে যে চোখে
তাপের ছড়া-ছড়ি নিঃশ্বাসের ভিতরে
ঊষার রঙ উড়ে বেড়ায় যে প্রমত্ত চোখে
কোনো একটি বস্তু হামাগুড়ি দেয় মনের নির্জনতায়
কোনো একটি বস্তু লাফ দিয়ে বেড়ায় যে চোখে।

এমন রাজকীয় ভাবেই হয় যে আগমন
আকর্ষণ নিজের সংঘর্ষের দিকে যায় ছুটে
নিজের দেশকে নিজেই করে যে দখল
নিজের জনগণকে নিজেই বানায় যে জিম্মি।

জয়-পরাজয়

আমি চোখের পাপড়িতে যদি প্রহরী বসিয়ে রাখতাম
তুমি আমার স্মৃতির জানালা দিয়ে প্রবেশ করতে কী করে
আমি বাউন্ডুলে বাতাসের মতো যদি না ঘুরে বেড়াতাম
তুমি আমার নিঃশ্বাসের জোয়ারে পুস্পিত হতে কী করে
আমি অনুসরনের সূর্য যদি নিভিয়ে না আসতাম
তুমি আমার বাসনার বাগানে প্রস্ফুটিত হতে কী করে

আমি তো সেই পাথর যেটা ইতিহাসের আয়নায়
প্রতিটি ঐতিহাসিকের চোখে আমি সুপ্রত্যক্ষ থেকেছি
এটা ঠিক আমি নিমজ্জিত ছিলাম এই পৃথিবীর সাত রঙ্গে
তবুও পোশাক আমার ফেরেশতার মতো ধবধবে সাদা রেখেছি
মৃত্যুর উপত্যকায় আমি তো ঘুরেছি উন্মাদের মতো
তবুও আমি যুগে যুগে সভ্যতার রাজপুত্র বিবেচিত হয়েছি

যুদ্ধে জয়ী হয়েছি তখন তরবারির অহংকার গুড়িয়ে দেয়ার জন্য
আমি পরাজিতদের মাঠে আমার পতাকা উড়িয়ে দিয়েছি
যুদ্ধে পরাজিত হয়েছি তখন পরাজয়কে জয় বানানোর জন্য
আমি বিজেতার সভ্যতায় আমার পদচিহ্ন এঁকে দিয়েছি।
নতুন পৃথিবী।

পাঠপ্রতিক্রিয়া ও মন্তব্য
Share.

Comments are closed.